ভোলার তজুমদ্দিনে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, বিএনপির নেতাকর্মীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বাংলাদেশের ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলায় একটি ভয়াবহ ধর্ষণের ঘটনায় বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, এক ব্যক্তিকে আটকে রেখে তার স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় শ্রমিক দল, যুবদল এবং ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ সাতজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনা সংক্ষেপ:
ভিকটিমের স্বামী ঢাকার একটি হোটেলে বাবুর্চি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শনিবার রাতে দ্বিতীয় স্ত্রীর ডাকে তিনি বাড়ি গেলে, স্থানীয় বিএনপির অঙ্গসংগঠনের কর্মীরা তাকে আটকে রাখে এবং টাকার জন্য মারধর করে।
রবিবার সকালে তার প্রথম স্ত্রী স্বামীকে ছাড়াতে গেলে অভিযুক্তরা চার লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দেওয়ায় ভিকটিমকে সরিয়ে দিয়ে তার স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়।
তিনি জানান:
"শ্রমিক দল, যুবদল, ছাত্রদলের লোকজন সারা রাত আমাকে মারধর করেছে। সকালে আমার বড় বউ আমাকে ছাড়াতে গেলে তারা আমাকে বাইরে সরিয়ে নেয় এবং তাকে সবাই মিলে ধর্ষণ করে।"
মামলার অগ্রগতি:
-
সোমবার (৩০ জুন) তজুমদ্দিন থানায় সাতজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
-
রাতে ভোলা সদর হাসপাতালে ভিকটিম নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক চিকিৎসক ডা. শেখ সুফিয়ান রুস্তম।
-
ভিকটিমের স্বামী নিজেকে বিএনপির কর্মী হিসেবে দাবি করেছেন।
দলীয় প্রতিক্রিয়া ও বহিষ্কার:
-
অভিযুক্ত উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দিনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে উপজেলা বিএনপি।
-
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি দুইজন ছাত্রনেতাকে বহিষ্কার করেছে।
ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল হক নিশ্চিত করেছেন, মামলার তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
0 মন্তব্যসমূহ