তজুমদ্দিনে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, একজন গ্রেফতার
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং পুলিশ জানিয়েছে, বাকি আসামিদের গ্রেফতারে জোর অভিযান চলছে।
📌 ঘটনার বিবরণ:
ভুক্তভোগী নারীর স্বামীর ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি সম্প্রতি ঢাকা থেকে প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে ভোলায় ফেরেন। গত শনিবার রাতে দ্বিতীয় স্ত্রীর ফোন পেয়ে তিনি তার বাসায় গেলে পাঁচ-ছয়জনের একটি দল ঘরে প্রবেশ করে তাকে বেধড়ক মারধর করে এবং চার লাখ টাকা দাবি করে।
"ওরা ঘরে ঢুকেই আমারে পাইপ দিয়ে পেটাতে থাকে। আমার প্রথম স্ত্রীকে ফোন দিয়ে চিৎকার শুনায়, পরে বলে টাকা নিয়ে আসলে আমাকে ছেড়ে দেবে," বলেন বাদী।
রোববার সকালে প্রথম স্ত্রী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে টাকা দিতে অপারগতা জানালে তাকে লাঞ্ছিত করা হয় এবং একপর্যায়ে স্বামীকে বাইরে নিয়ে গিয়ে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
🔍 ধর্ষণের অভিযোগ ও আত্মহত্যার চেষ্টা:
স্বামীর দাবি, চা খাওয়ানোর নাম করে অভিযুক্তরা তাকে বাইরে আটকে রাখে এবং এই সময়েই তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনার পর স্ত্রীর মানসিক অবস্থা এতটাই ভেঙে পড়ে যে, তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
"আমার বড় বউ অপমান আর কষ্টে দুইবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে," জানান তিনি।
📝 মামলা ও গ্রেফতার:
-
ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তি তজুমদ্দিন থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
-
মামলায় উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দিন, যুবদল কর্মী আলাউদ্দিন, তার দ্বিতীয় স্ত্রীসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত আরও চার/পাঁচজনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছে।
-
মঙ্গলবার দ্বিতীয় স্ত্রীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
🗣️ পুলিশ ও তদন্ত কর্মকর্তার বক্তব্য:
ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল হক বলেন,
"অভিযোগটি আমরা গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছি। মামলার পরই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিরা আত্মগোপনে চলে গেছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে।"
⚖️ দলীয় প্রতিক্রিয়া ও বহিষ্কার:
-
অভিযুক্ত শ্রমিক দল নেতা ফরিদ উদ্দিনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে উপজেলা বিএনপি।
-
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি দুই নেতাকে বহিষ্কার করেছে।
0 মন্তব্যসমূহ