যে ১০ সিনেমার শুটিংয়ে বাস্তবেই সেক্স করতে হয়েছিল।








অনেক চলচ্চিত্রে গল্পের চাহিদা অনুযায়ী নায়ক-নায়িকাদের বিভিন্ন ধরনের দৃশ্যে অভিনয় করতে হয়। কিছু সিনেমাতে এমন দৃশ্য থাকে, যেখানে চুম্বন বা অন্তরঙ্গতার মুহূর্ত বেশি থাকে, এবং এই কারণে অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী অভিনয় করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে থাকেন। তবে কিছু সিনেমাতে, গল্পের প্রয়োজনে, তারা নিজের সীমা ছাড়িয়ে গেছেন। এমনকি ক্যামেরার সামনে উদ্দাম যৌনতায় মগ্ন হয়ে অভিনয় করেছেন।

এমন কিছু সিনেমা রয়েছে, যেখানে নায়ক-নায়িকারা সত্যিই যৌন দৃশ্যে একত্রিত হয়েছেন, এবং এসব দৃশ্য দর্শক মহলে ব্যাপক আলোচিত ও প্রশংসিত হয়েছে।







 ক্যালিগুলা

১৯৭০ সালের ছবি ক্যালিগুলা অন্য সিনেমার তুলনায় পথিকৃৎ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। নির্মাতারা ছবিটি মুক্তির আগে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে, ছবির অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মধ্যে সত্যিকারের যৌন ক্রিয়া প্রদর্শিত হয়েছে। এতে ফুল ফ্রন্টাল ন্যুডিটি, ওরাল সেক্স এবং সঙ্গম দৃশ্যে কোনো বডি ডাবল ব্যবহার করা হয়নি। যদিও সাধারণ দর্শক এবং চলচ্চিত্র সমালোচকরা ছবিটিকে সেভাবে গ্রহণ করেননি।

অল অ্যাবাউট আনা

পরিচালক লার্স ভন ত্রিয়ের তৈরি অল অ্যাবাউট আনা ছবিটি যৌন সম্পর্কের বিষয় নিয়ে নির্মিত। ছবির মাস্টারবেশন এবং সঙ্গম দৃশ্যে চরিত্ররা সত্যিই যৌনক্রিয়া করেন। ছবিটি দেশে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেছিল, তবে প্রযোজক জানিয়েছিলেন, ছবির বিষয়বস্তু যথাযথভাবে ফুটিয়ে তুলতে সেক্সুয়াল অ্যাক্ট ছাড়া তা সম্ভব ছিল না।

দ্য ব্রাউন বানি

এই ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ক্লোয়ি সেভিঙ্গি। বিশেষত ছবির ওরাল সেক্সের দৃশ্যগুলোতে তিনি সত্যিই অভিনয় করেছেন, যা মুক্তির পর ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল।

নিম্ফোম্যানিয়াক

বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করা এই ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন লার্স ভন ত্রিয়ের। ছবির সেক্স দৃশ্যে অভিনেতারা সত্যিকারের পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন, এবং কিছু দৃশ্যে পর্নো তারকাদেরও ব্যবহার করা হয়েছিল।


লরেন লি স্মিথ ও এরিক ব্যালফোরের সঙ্গম দৃশ্য ছবির অন্যতম আলোচিত বিষয় ছিল। সিনেমায় তাদের সঙ্গম দৃশ্য সত্যিই শুটিং করা হয়েছিল, এবং একাধিকবার সঙ্গমের দৃশ্যে অংশগ্রহণ করেছিলেন তারা, যা গল্পের জন্য প্রয়োজন ছিল।




Click To Watch All Movie



সুইট সুইটব্যাকস ব্যাডঅ্যাস সং

১৯৭১ সালের এই ছবির প্রধান অভিনেতা মেলভিন ফান পেবলস প্রথমে সেক্স দৃশ্য শুটিংয়ের কথা অস্বীকার করেছিলেন, তবে পরবর্তীতে জানা যায়, ছবির দৃশ্যগুলো সবই সত্যি শুট করা হয়েছিল। শুটিংয়ের পর মেলভিন যৌন রোগে আক্রান্ত হন, এবং কনট্রাক্ট অনুযায়ী তাকে ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়েছিল।


কলকাতার পটভূমিতে নির্মিত এই ছবি একটি ক্রুদ্ধ কমবয়সী র‌্যাপারের কাহিনি। ছবিতে ন্যুডিটি, গালিগালাজ, ড্রাগের নেশা ইত্যাদি থাকায় ভারতে ছবিটি মুক্তি পায়নি। তবে ২০১০ সালে নিউ ইয়র্কে 'সাউথ এশিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল' এ এর প্রিমিয়ার হয়েছিল এবং এটি দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক আলোচিত হয়েছিল।

বেইস মোয়া

এটি একটি ফরাসি ছবি, যার বাংলা অর্থ ‘আমার সঙ্গে সঙ্গম করো’। ছবির সঙ্গম দৃশ্যগুলি শুধু গ্রাফিক ছিল না, বরং অনেক সমালোচক ছবিটিকে পর্নোগ্রাফির সঙ্গে তুলনা করেছেন।


২০০৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ব্রিটিশ আর্ট রোম্যান্টিক ড্রামা ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন মাইকেল উইন্টারবটম। সিনেমাটিতে মোট ৮টি ভিন্ন ব্যান্ডের গান শোনানো হয়, যা ছবির নামের উৎস। এতে সত্যিকারের সেক্স দৃশ্য শুট করা হয়েছিল।

লাভ

এটি একটি ফরাসি ছবি, যা পরিচালনা করেছিলেন গ্যাসপার নুই। ২০১৫ সালে কান ফিল্ম ফেস্টিভালে ছবিটি প্রদর্শিত হয়েছিল। ছবির মূল থিম হল ভালবাসার প্রকৃতি, এবং এতে একাধিকবার অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে সত্যিকারের সেক্স শুট করা হয়েছিল। এটি ব্যাপক সাড়া জাগানো একটি চলচ্চিত্র, যা সমালোচকদের প্রশংসাও কুড়িয়েছে।