পাকিস্তানে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার সানা ইউসুফকে গুলি করে হত্যা, ২০ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারী গ্রেপ্তার






পাকিস্তানের ইসলামাবাদে ১৭ বছর বয়সী জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার সানা ইউসুফকে নিজ বাড়িতে গুলি করে হত্যা করার মাত্র ২০ ঘণ্টার মধ্যেই সন্দেহভাজন হত্যাকারী উমর হায়াতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ২২ বছর বয়সী উমর হায়াত হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে ইসলামাবাদ পুলিশ।

প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানই সানার মৃত্যুর কারণ?

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হত্যাকাণ্ডের কারণ হিসেবে বন্ধুত্ব বা প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের বিষয়টি সামনে এসেছে। অভিযুক্ত উমর হায়াত একাধিকবার সানার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেন, কিন্তু প্রত্যাখ্যানের শিকার হন। এরপরই গত সোমবার (২ জুন) ইসলামাবাদের বাড়িতে প্রবেশ করে সানাকে দুই রাউন্ড গুলি করে হত্যা করেন তিনি। গুলির পর সানার ফোন চুরি করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।

তদন্তে পুলিশের তৎপরতা

ইসলামাবাদ ও পাঞ্জাব প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ১১৩টি সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এবং অবশেষে ফয়সালাবাদ থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের বরাতে জানানো হয়েছে, হত্যাকাণ্ডের পরপরই সারা দেশে ব্যাপক উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে এবং খুনিকে ধরতে প্রশাসনের উপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হয়।

সানার শেষ ইনস্টাগ্রাম ভিডিও এবং অনলাইন প্রতিক্রিয়া

মৃত্যুর পর রাতারাতি সানার টিকটক ও ইনস্টাগ্রাম ফলোয়ার সংখ্যা কয়েক লাখ বেড়ে যায়। বর্তমানে তার টিকটকে ফলোয়ারের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। ইনস্টাগ্রামে শেষ ভিডিওতে দেখা যায়, জন্মদিনে কেক কাটছেন তিনি, চারপাশে বেলুন দিয়ে সাজানো একটি রুমে।



সন্দেহভাজন উমর হায়াত সম্পর্কে যা জানা গেছে

ইসলামাবাদ পুলিশের আইজিপি সৈয়দ আলী নাসির রিজভী জানিয়েছেন, উমর হায়াত একজন বেকার যুবক। তিনি সানার সঙ্গে এক বছর ধরে পরিচিত ছিলেন এবং সম্প্রতি ২৮-২৯ মে তার জন্মদিনে দেখা করতে ইসলামাবাদে গিয়েছিলেন। তবে তাদের দেখা হয়নি। পরে ফোনে কথা বলে ২ জুন দেখা করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু দেখা করার সময় উমর ঘরে প্রবেশ করে তর্ক শুরু করেন, যা শেষমেশ হত্যার রূপ নেয়।

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, হত্যার পর উমর সানার ফোনসহ পালিয়ে যান, তবে পুলিশ তার কাছ থেকে ফোন ও খুনের অস্ত্র উভয়ই উদ্ধার করেছে।