প্রিয়াঙ্কা চোপড়া অন্তরঙ্গ দৃশ্যের শুটিং সম্পর্কে তার অস্বস্তি শেয়ার করছেন।




নায়ক-নায়িকার নিখুঁত অভিনয়ের মাধ্যমে সিনেমা হয়ে ওঠে জীবন্ত ও আবেগঘন। তবে বলিউড ও হলিউডে এমন অনেক জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রী রয়েছেন, যারা অভিনয়ের দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘ ক্যারিয়ারে প্রত্যাশিত জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেননি। এর অন্যতম কারণ হিসেবে উঠে আসে এক বিষয়—অন্তরঙ্গ দৃশ্য বা চুম্বনের দৃশ্যে অভিনয়ে অনীহা

অনেক তারকাই নিজের নীতি ও ব্যক্তিগত সীমারেখা বজায় রাখতে গিয়ে পর্দায় অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অংশ নিতে রাজি হননি, যার ফলে অনেক সময় কাজ হারাতে হয়েছে তাদের। চলুন জেনে নেওয়া যাক বলিউড ও হলিউডের এমন কিছু সাহসী অভিনয়শিল্পীর কথা, যারা অন্তরঙ্গ দৃশ্য থেকে দূরে থাকায় কাজ হারিয়েছেন বা জনপ্রিয়তায় পিছিয়ে পড়েছেন।


সোনাক্ষী সিনহা: নিজস্ব সীমারেখা মেনেই কাজ করেন

‘দাবাং’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক ঘটে সোনাক্ষী সিনহার। একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিলেও তাকে পর্দায় কখনোই চুমু বা অন্তরঙ্গ দৃশ্যে দেখা যায়নি।
অভিনেত্রীর ভাষায়,

“অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করতে আমি স্বস্তি পাই না। এটা একান্তই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। অস্বস্তিকর কোনো কিছুর সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার দরকার নেই।”
অনেক সময় স্ক্রিপ্ট ভালো লাগলেও শুধুমাত্র অন্তরঙ্গ দৃশ্য থাকার কারণে সিনেমা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি।


মৃণাল ঠাকুর: পারিবারিক মূল্যবোধের কারণেই 'না'

মৃণাল ঠাকুর শুরু থেকেই স্পষ্ট ছিলেন অন্তরঙ্গ দৃশ্য নিয়ে। তিনি বলেন,

“আমার মা-বাবা পর্দায় মেয়ের চুম্বন দৃশ্য দেখতে পারবেন না—এই চিন্তাই আমাকে এসব দৃশ্যে অভিনয় করতে দেয়নি।”
এর কারণে কয়েকটি বড় প্রজেক্ট হাতছাড়া হয়, এমনকি এক সময় বলিউড থেকেও কাজের প্রস্তাব কমে যায়।



 


প্রিয়াঙ্কা চোপড়া: অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতা থেকেই হলিউডে যাত্রা

বলিউডের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী বর্তমানে হলিউডে দাপটের সঙ্গে কাজ করছেন। এক সময় অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করতে অস্বস্তি বোধ করতেন প্রিয়াঙ্কা।
তার ভাষায়,

“অন্তরঙ্গ দৃশ্য শুট করা বেশ বিব্রতকর, বিশেষ করে একশো জন লোকের সামনে। যত দ্রুত শুটিং শেষ হয়, তত ভালো।”
এই সীমাবদ্ধতার কারণে অনেক কাজই হাতছাড়া করেন তিনি।


নীল ম্যাকডোনাফ: স্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে দৃঢ় সিদ্ধান্ত

হলিউড অভিনেতা নীল ম্যাকডোনাফ নিজের স্ত্রীর প্রতি সম্মান জানিয়ে কখনোই পর্দায় অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অংশ নেননি। এমনকি একবার চুম্বনের দৃশ্যে রাজি না হওয়ায় তাকে একটি সিনেমা থেকে বাদ দেওয়া হয়।
এই সিদ্ধান্তের কারণে দীর্ঘ সময় কাজের বাইরে থাকতে হয়েছে তাকে, তবে নিজের নীতির সঙ্গে কখনোই আপোস করেননি।


কারিনা কাপুর: গল্পের প্রয়োজনে অন্তরঙ্গতা নয়

কারিনা কাপুরের মতে,

“গল্পকে এগিয়ে নিতে সবসময় অন্তরঙ্গ দৃশ্যের প্রয়োজন পড়ে না।”
তিনি কখনোই এমন দৃশ্যে অভিনয় করেননি এবং ভবিষ্যতেও করবেন না বলেই জানিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তের কারণে অনেক কাজ হারাতে হয়েছে তাকে, তবে দর্শকদের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা বরাবরই দৃঢ়।


উপসংহার

বলিউড ও হলিউডের এই অভিনেতা-অভিনেত্রীরা প্রমাণ করেছেন, নিজের সীমারেখা মেনে চলেও সফল ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব। অন্তরঙ্গ দৃশ্য না করলেও তারা নিজেদের অভিনয় দক্ষতায় জায়গা করে নিয়েছেন দর্শকদের মনে।
এইসব তারকার সাহসী সিদ্ধান্ত নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের জন্য একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে।