যশোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক রাশেদ খানের আকস্মিক পদত্যাগ: সংগঠনে নতুন সংকট
ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলার আহ্বায়ক রাশেদ খান আকস্মিকভাবে তার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। সোমবার (৩০ জুন) দিবাগত রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি জানিয়েছেন, তিনি যশোর জেলা আহ্বায়ক পদ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিচ্ছেন এবং তার এনসিপি ও এর ছাত্র-যুব সংগঠনের সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
এই ঘোষণা সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে, বিশেষ করে যখন দেশের বিভিন্ন জেলায় গণঅভ্যুত্থান-ভিত্তিক আন্দোলনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মোমবাতি প্রজ্বালনের কর্মসূচি চলছে। রাতেই রাশেদের পদত্যাগের স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে এবং তা নিয়ে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
রাশেদ খান এক সহকর্মীর সঙ্গে আলাপচারিতায় জানান, “সারাক্ষণ কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি, এসব আর ভালো লাগছে না,” যা তার পদত্যাগের পেছনে নেতিবাচক অভিজ্ঞতার ইঙ্গিত দেয়।
গত বছর ২৬ নভেম্বর কেন্দ্রীয় পরিষদ রাশেদ খানকে যশোর জেলা আহ্বায়ক করে ঘোষণা করে। তবে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নৈতিক স্খলনের অভিযোগে তার যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুম বিল্লাহ পদত্যাগ করেন। এরপর এক সপ্তাহের মধ্যে আরও সাতজন নেতা পদত্যাগের পথে যান। এছাড়া, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে উপজেলা কমিটি গঠনে অনৈতিকতার অভিযোগে সদস্যসচিব জেসিনা মুর্শীদ প্রাপ্তির পদ স্থগিত করা হয়।
সংগঠনের ভেতরে নীতিবিরোধী কর্মকাণ্ড ও ভাঙনের খবর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীদের কর্মসূচিতে আগ্রহও কমে এসেছে। যশোরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ মুখ এবং যবিপ্রবির ছাত্ররাজনীতির পরিচিত রাশেদের পদত্যাগকে সংগঠনের জন্য বড় ধরনের ধাক্কা বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাশেদের পদত্যাগের প্রভাব পড়তে পারে সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীদের উপরও, এবং নতুন করে যশোর জেলা কমিটিতে ভাঙনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।
0 মন্তব্যসমূহ