ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের আড়ালে পর্নোগ্রাফি ও মধুচক্র!

ফুলটুসি পর্নোগ্রাফি, আরিয়ান খান মধুচক্র, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট যৌন কেলেঙ্কারি







হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগনায় চাঞ্চল্য! এক তরুণীর উপর নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় উঠে এলো এক ভয়ঙ্কর চক্রের কাহিনি। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ও রিলস বানানোর নামে পর্নোগ্রাফি, মধুচক্র এবং বার ডান্সে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে শ্বেতা খান ও তার ছেলে আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে।

‘ফুলটুসি’র প্রোডাকশন হাউসে রিলস নয়, পর্ন ভিডিও!

স্থানীয় সূত্রের খবর, পানিহাটিতে ‘ফুলটুসি’ নামে পরিচিত শ্বেতা খান একাধিক অপরাধে যুক্ত ছিলেন। তার একটি প্রোডাকশন হাউস ছিল, যেখানে সোশ্যাল মিডিয়ার রিলস বানানোর নাম করে ‘সফট পর্নোগ্রাফি’ তৈরি হতো। তরুণীদের কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে এনে বার ডান্স ও পর্ন কনটেন্টে বাধ্য করানো হতো। শুধু তাই নয়, শ্বেতা ও আরিয়ানের বিরুদ্ধে মধুচক্র চালানোর অভিযোগও রয়েছে।

অস্ত্র মজুত, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন

অভিযোগ, শ্বেতা ও তার ছেলে বাড়িতে অস্ত্রও মজুত রাখতেন। স্থানীয়রা একাধিকবার থানায় অভিযোগ করলেও, রহস্যজনকভাবে কখনও গ্রেপ্তার হয়নি মা-ছেলে। এলাকাবাসীর প্রশ্ন— “কোন জাদুতে রক্ষা পায় ওরা?”

ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ২৩ বছরের তরুণীর

উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের এক ২৩ বছর বয়সি তরুণী কাজের সন্ধানে যোগাযোগ করেছিলেন আরিয়ান খানের সঙ্গে। আরিয়ান তাকে একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থায় চাকরির প্রস্তাব দিয়ে ডেকে নেয় হাওড়ার ডোমজুড়ে।

কিন্তু সেখানে পৌঁছনোর পরই তরুণীর জীবনে নামে বিভীষিকার ছায়া। অভিযোগ, তাকে পানশালায় কাজ করানো হয় এবং পর্নোগ্রাফি ও যৌনচক্রে জড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। রাজি না হওয়ায় তাকে বাড়িতে আটকে রেখে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়।





সিগারেটের ছ্যাঁকা, চুল কেটে দেওয়া— অমানবিক নির্যাতন!

তরুণীর অভিযোগ, জ্বলন্ত সিগারেট দিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়া, মাথার চুল কেটে নেওয়ার মতো অমানবিক অত্যাচার চালানো হয় তার ওপর। কোনওভাবে পালিয়ে এসে তিনি বিষয়টি ফাঁস করেন। তারপরই প্রকাশ্যে আসে ‘ফুলটুসি’ ও আরিয়ানের অপরাধের জগৎ

এখনও পলাতক মা-ছেলে, পুলিশের রহস্যজনক নীরবতা

এই ঘটনার পরেও শ্বেতা ও আরিয়ান পলাতক। পুলিশ এখনও মুখ খোলেনি, যা নিয়ে জনমনে ক্ষোভ ও উদ্বেগ বাড়ছে।