নগদ থেকে ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, জড়িত সাবেক তথ্য উপদেষ্টার পিএ আতিক মোর্শেদ

আতিক মোর্শেদ





ঢাকা: নগদ মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস থেকে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা বেহাতের অভিযোগ উঠেছে অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের তৎকালীন বিশেষ সহকারী (পিএ) আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে। এছাড়াও, আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে স্ত্রী ও নিকট আত্মীয়দের নগদে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন এই গুরুতর অভিযোগগুলোর পেছনে নাহিদ ইসলামের পরোক্ষ অথবা প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততার প্রশ্ন তুলেছেন। আজ শুক্রবার (৩১ মে) দুপুরে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “নাহিদ ইসলামের দায়িত্বে থাকার সময়েই আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠলেও, কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাহলে কি নাহিদ ইসলামের পরামর্শেই আতিক এসব অপকর্ম করেছে?”



রাশেদ খাঁন তার পোস্টে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের বরাত দিয়ে উল্লেখ করেন, নগদের ডেপুটি সিইও মুয়ীজ নাসনিম ত্বকির সঙ্গে মিলে আতিক মোর্শেদ ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। এমনকি গত ১৮ মে রাতেই মুয়ীজ নাসনিম ত্বকিকে ডিবি পুলিশ বেইলি রোডের বাসা থেকে আটক করলেও, রহস্যজনকভাবে পরদিন কোনো চার্জ না দিয়েই ছেড়ে দেওয়া হয়। রাশেদ খাঁনের দাবি, আতিক মোর্শেদের হস্তক্ষেপেই ডিবি পুলিশ তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।

তিনি আরও বলেন, নগদ ভবনের ৬ তলার একটি রুমে নিয়মিত অফিস করছেন আতিক মোর্শেদ, যদিও তিনি নগদের কোনো কর্মকর্তা নন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি তার স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা জুঁইকে ‘ম্যানেজার, কমপ্লায়েন্স’ পদে এবং আরও অনেক নিকট আত্মীয়কে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিয়েছেন।

রাশেদ খাঁন কটাক্ষ করে বলেন, “নাহিদ ইসলামের একটা কথা আমার কানে বাজে – ‘ধনীরা আমাদের ডোনেট করে’। প্রশ্ন হচ্ছে, সেই ধনীরা কারা?”

তিনি দাবি জানান, আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে পুরো বিষয়টি জনসমক্ষে তুলে ধরার।