সালমান খানের জন্য বর্তমানে সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না। একের পর এক হুমকি ও ধমকিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। গত বছর তার বাড়িতে হামলার ঘটনার পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। সেই হামলার পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে তাকে হুমকি দেয়া হচ্ছে।
এমনকি সালমানের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে ভারতের আলোচিত রাজনীতিবিদ ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী বাবা সিদ্দিকী খুন হন। কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের অনুসারীরা এই খুনের দায় স্বীকার করেছে, এবং এর পর থেকেই নিরাপত্তার দিকে আরও সতর্ক হয়ে উঠেছেন সালমান। সরকারের পক্ষ থেকেও তাকে কড়া নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে।
পিঙ্কভিলার রিপোর্ট অনুযায়ী, নতুন বছরে তার নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে দেখা গেছে। ৫ জানুয়ারি, গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে নিরাপত্তাব্যবস্থা শক্তিশালী করার কাজ চলছে। বাড়ির বারান্দা এবং জানালার আশপাশে নিরাপত্তার কাজ চলছিল। ধারণা করা হচ্ছে, লরেন্স বিষ্ণোই এবং তার গ্যাংয়ের থেকে আসা হত্যার হুমকির জন্যই এই নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্যালাক্সির বারান্দার গঠন পরিবর্তন করা হচ্ছে এবং জানালাগুলো আরও নিশ্ছিদ্র করা হচ্ছে। সালমানের ভক্তদের কাছে এই বারান্দা খুব জনপ্রিয়, কারণ এখান থেকেই তিনি প্রায়ই তাদের উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। তবে, তার বাড়ির ঠিক সামনে এখন আর ভিড় জমতে দেয়া হবে না, এবং বাড়ির নিরাপত্তা আরও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ফলে, আগের মতো সালমানকে বাড়ির বারান্দায় দেখা না যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
১৯৯৮ সালে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যাকাণ্ডে সালমানের নাম জড়ানোর পর থেকেই লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং তার টার্গেটে রয়েছে। এই গ্যাং সালমানকে একাধিকবার প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে এবং তার বাড়িতে হামলাও চালিয়েছে। সর্বশেষ, সালমানের ঘনিষ্ঠতার কারণে এনসিপি নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী বাবা সিদ্দিকীকে খুন করা হয়, যা ভারতে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। ১২ অক্টোবর, বান্দ্রায় তার ছেলের অফিসের সামনে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়, এবং সালমানের সঙ্গে তার সম্পর্ককে হত্যার একটি প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এরপর থেকেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সালমানের চারপাশে আরও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে, যা তার দৈনন্দিন কাজকর্মে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে।

0 মন্তব্যসমূহ