ভারত আক্রমণে মরিয়া চীন!লাদাখে মুখোমুখি








গেল কদিন ধরে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল, কিন্তু সেই উত্তেজনা কিছুটা থামার আগেই নতুন করে ভারত-চীন সীমান্তে উত্তেজনা বাড়তে শুরু করেছে।
  

ভারতের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, চীন আবারও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC)-এর কাছে বড় আকারের সেনা মহড়া চালিয়েছে। ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, বেজিং এই মহড়া দিয়ে যুদ্ধের উত্তেজনা সৃষ্টি করছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (PLA) ঝিংজিয়ান সেনা কমান্ডো একটি রেজিমেন্ট লাদাখের মতো কঠিন আবহাওয়ায় যুদ্ধ প্রস্তুতি হিসাবে এলএসিতে মহড়া করেছে। এর পরেই ভারতীয় সেনাবাহিনী সতর্ক অবস্থানে চলে গেছে।
  

এছাড়া, যুদ্ধের সময়ে সৈন্যদের কাছে দ্রুত রসদ পৌঁছে দেওয়ার জন্য ভারতীয় সেনাও বিশেষ অনুশীলন চালিয়েছে।





 

ভারতের অন্য একটি সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াইআর জানায়, ভারতের সেনাপ্রধান বলেছেন, লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীনের পরিস্থিতি ‘স্থিতিশীল, কিন্তু সংবেদনশীল’। ভারতীয় সামরিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ধরনের সংবেদনশীল মন্তব্যের মানে হলো, পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর হতে পারে। তারা আশঙ্কা করছেন যে, চীন লাদাখ অঞ্চলে যেকোনো সময় বড় ধরনের আক্রমণ করতে পারে। সেক্ষেত্রে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমস্যা সমাধান না হলে, চীন এই অঞ্চল দখলে নিতে পারে। তাদের মতে, চীন এখানে সামরিক মহড়া চালিয়ে পরিস্থিতি উত্তেজিত করছে, যা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতির ইঙ্গিত।

এছাড়া, গত ১৮ ডিসেম্বর পেন্টাগনের একটি রিপোর্টে বলা হয়, ২০২০ সালের গলওয়ান সংঘর্ষের পর চীন এলএসিতে সৈন্য সমাবেশ কমায়নি। লাদাখ থেকে অরুণাচল পর্যন্ত ৩,৪৮৮ কিলোমিটার বিস্তৃত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি PLA সেনা মোতায়েন রয়েছে। তাদের কাছে রয়েছে ট্যাঙ্ক, কামান, ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রসহ উন্নত সামরিক সরঞ্জাম। বিশেষত, পেন্টাগনের রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে PLA-এর ২০টি সম্মিলিত অস্ত্র ব্রিগেডের উপস্থিতি, যেগুলি যে কোনও যুদ্ধক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।




 

চীন এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সহ্য হচ্ছে না, এবং তাই তারা এই ধরনের ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে। তবে সাম্প্রতিক মহড়ার বিষয়ে চীনের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি, যা ভারতকে আরও উদ্বিগ্ন করেছে। ভারত এখন মনে করছে, চীন ভারতের বিরুদ্ধে বড় ধরনের সামরিক প্রস্তুতি নিচ্ছে।